রাজধানী ঢাকায় ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে চিকুনগুনিয়া। পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য ভাইরাসজনিত এ জ্বরে আক্রান্ত। মনে করা হচ্ছে এ পর্যন্ত এক লাখের চেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। যদিও সঠিক কোনো পরিসংখ্যান কারো কাছে নেই। স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিকুনগুনিয়া সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হলেও তাদের কাছ থেকে কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে চিকুনগুণিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে সরকারি কোনো হাসপাতালে ভর্তিও করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করা হলে তারা কেবল সচেতনতা বিষয়ক তথ্য দিয়ে থাকেন।
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল, চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি যোগাযোগ মাধ্যমে জানা গেছে, চিকুনগুনিয়া প্রাদুর্ভাব হওয়ার পর থেকে এক লাখের বেশি মানুষ রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। সঠিক পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে থাকার কথা থাকলেও তাদের কাছ থেকে কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকে চিকুনগুণিয়া আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্য অধিদফর এটাকে মহামারী বলতে চান না। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, চিকুনগুনিয়ায় যদিও অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে কিন্তু কেউ মারা যায়নি। অনেক মানুষ এক সাথে একই কারণে মারা গেলে তখনই কেবল ‘মহামারী’ শব্দটি ব্যবহার করা যায়।
কলেজ ছাত্র হারুনুর রশীদ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে তাকে ভর্তি করা হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করে। তাকে প্যারাসিটামল ও প্রচুর পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে বাসায় চলে যেতে বলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা। হারুন ১০৩ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে হাসপাতালে গেলেও তাকে বলা হয় প্যারাসিটামল খেলেই জ্বর কমে যাবে। তাতে না কমলে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি নিতে পরামর্শ বলা হয়।
ঢাকার মেসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তাহির উদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি চিকুনগুনিয়া থেকে মাত্র সেরে উঠেছেন। হাড়ের প্রতিটি জোরায় এখনো প্রচুর ব্যথা রয়েছে। বিশিষ্ট চোখের চিকিৎসক এ কে এম ওয়ালিউল্লাহ ঈদের আগের দিন থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। আজ পর্যন্ত তার শরীরে ব্যথা রয়েছে। রাঙ্গামাটিতে বদলী হওয়া ডা. হাবিবুর রহমান ঢাকা থেকে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাঙ্গামাটি যান। সেখানে যাওয়ার পর তিনি অবশ্য সুস্থ হয়ে ওঠেন।
রাজধানীতে অধিকাংশ পরিবারের কেউ না কেউ রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে। ফেসবুক ও টুইটার খুললেই ‘ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন’ এমন প্রচুর স্ট্যাটাস পাওয়া যাচ্ছে। কোনো একজন মহিলা সাংবাদিক রোগটিকে চিকুনগুনিয়া না বলে ‘চিকনা’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর তার শরীরের ওজন কমেছে কয়েক কেজি।
চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারে প্রচুর চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগী আসছে বলে তারা জানিয়েছেন।
তারা জানান, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা অনেক সময় ১০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়। তাপমাত্রা বেশি উঠলে দ্রুত প্যারাসিটামল সাপোজিটরী ব্যবহার করতে হবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, সাপোজিটরী ব্যবহার করা হলে তাপমাত্রা কমে যাবে। চিকিৎসকেরা জানান, জ্বরের কারণে উঠে যাওয়া তাপমাত্রা অবশ্যই কমিয়ে ফেলতে হবে। তা নাহলে নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকুনগুনিয়া সংক্রান্ত নিউজলেটারে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার পর থেকে ১১৩ জন হটলাইন মারফত ও তিনজন সরাসরি এসে চিকুনগুনিয়া সম্বন্ধে জানতে চান। এর বাইরে নিউজলেটারে কেবল সচেনতা ও সরকারী হাসপাতালসমুহ কি করবে তা নিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে আজ রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ (সিডিসি) বিভাগের লাইন পরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনার কাছে চিকুনগুনিয়া সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও আইইডিসিআর’র পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু আইইডিসিআর’র পরিচালক মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যার পর থেকেই তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
রাজধানী ঢাকায় ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে চিকুনগুনিয়া। পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য ভাইরাসজনিত এ জ্বরে আক্রান্ত। মনে করা হচ্ছে এ পর্যন্ত এক লাখের চেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। যদিও সঠিক কোনো পরিসংখ্যান কারো কাছে নেই। স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিকুনগুনিয়া সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হলেও তাদের কাছ থেকে কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে চিকুনগুণিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে সরকারি কোনো হাসপাতালে ভর্তিও করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করা হলে তারা কেবল সচেতনতা বিষয়ক তথ্য দিয়ে থাকেন। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল, চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি যোগাযোগ মাধ্যমে জানা গেছে, চিকুনগুনিয়া প্রাদুর্ভাব হওয়ার পর থেকে এক লাখের বেশি মানুষ রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। সঠিক পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে থাকার কথা থাকলেও তাদের কাছ থেকে কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকে চিকুনগুণিয়া আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্য অধিদফর এটাকে মহামারী বলতে চান না। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, চিকুনগুনিয়ায় যদিও অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে কিন্তু কেউ মারা যায়নি। অনেক মানুষ এক সাথে একই কারণে মারা গেলে তখনই কেবল ‘মহামারী’ শব্দটি ব্যবহার করা যায়। কলেজ ছাত্র হারুনুর রশীদ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে তাকে ভর্তি করা হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করে। তাকে প্যারাসিটামল ও প্রচুর পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে বাসায় চলে যেতে বলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা। হারুন ১০৩ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে হাসপাতালে গেলেও তাকে বলা হয় প্যারাসিটামল খেলেই জ্বর কমে যাবে। তাতে না কমলে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি নিতে পরামর্শ বলা হয়। ঢাকার মেসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তাহির উদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি চিকুনগুনিয়া থেকে মাত্র সেরে উঠেছেন। হাড়ের প্রতিটি জোরায় এখনো প্রচুর ব্যথা রয়েছে। বিশিষ্ট চোখের চিকিৎসক এ কে এম ওয়ালিউল্লাহ ঈদের আগের দিন থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। আজ পর্যন্ত তার শরীরে ব্যথা রয়েছে। রাঙ্গামাটিতে বদলী হওয়া ডা. হাবিবুর রহমান ঢাকা থেকে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাঙ্গামাটি যান। সেখানে যাওয়ার পর তিনি অবশ্য সুস্থ হয়ে ওঠেন। রাজধানীতে অধিকাংশ পরিবারের কেউ না কেউ রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে। ফেসবুক ও টুইটার খুললেই ‘ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন’ এমন প্রচুর স্ট্যাটাস পাওয়া যাচ্ছে। কোনো একজন মহিলা সাংবাদিক রোগটিকে চিকুনগুনিয়া না বলে ‘চিকনা’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর তার শরীরের ওজন কমেছে কয়েক কেজি। চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারে প্রচুর চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগী আসছে বলে তারা জানিয়েছেন। তারা জানান, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা অনেক সময় ১০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়। তাপমাত্রা বেশি উঠলে দ্রুত প্যারাসিটামল সাপোজিটরী ব্যবহার করতে হবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, সাপোজিটরী ব্যবহার করা হলে তাপমাত্রা কমে যাবে। চিকিৎসকেরা জানান, জ্বরের কারণে উঠে যাওয়া তাপমাত্রা অবশ্যই কমিয়ে ফেলতে হবে। তা নাহলে নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকুনগুনিয়া সংক্রান্ত নিউজলেটারে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার পর থেকে ১১৩ জন হটলাইন মারফত ও তিনজন সরাসরি এসে চিকুনগুনিয়া সম্বন্ধে জানতে চান। এর বাইরে নিউজলেটারে কেবল সচেনতা ও সরকারী হাসপাতালসমুহ কি করবে তা নিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এদিকে আজ রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ (সিডিসি) বিভাগের লাইন পরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনার কাছে চিকুনগুনিয়া সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও আইইডিসিআর’র পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু আইইডিসিআর’র পরিচালক মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যার পর থেকেই তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।