Home 20 জাতীয় 20 রামপাল প্রকল্প নিয়ে আপত্তি প্রত্যাহার ইউনেস্কোর : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

রামপাল প্রকল্প নিয়ে আপত্তি প্রত্যাহার ইউনেস্কোর : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সুন্দরবনের কাছে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির যে আপত্তি ছিল তা তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে ইউনেস্কোর কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে পোলান্ডের ক্র্যাকো শহরে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪১তম অধিবেশনে ইউনেসকো তাদের আপত্তি প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত নেয়।
কমিটির ওই অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের আন্তমন্ত্রণালয়ের একটি দল উপস্থিত ছিল।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনেক বিচার বিবেচনা করে কমিটি রামপাল প্রকল্প নিয়ে তাদের আপত্তি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু তারা এটাও বলে যে সুন্দরবন রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাও নিতে হবে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তুতি হিসেবে ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেসব উদ্যোগকে স্বাগতও জানিয়েছে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি।
সুন্দরবনের ঐতিহ্য রক্ষায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বস্তও করা হয়েছে।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে ইউনেস্কোর রিপোর্টে সুন্দরবনের কী ধরনের ক্ষতির আশংকার কথা বলা হয়েছিল?
রামপাল প্রকল্প নিয়ে ত্রিশ পৃষ্ঠার বেশি দীর্ঘ এই রিপোর্টটি ইউনেস্কো প্রকাশ করে গত বছরের অক্টোবর মাসে। তাতে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের মূলত চার ধরনের ক্ষতির আশঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে কয়লা পুড়িয়ে। এই কয়লা পোড়ানোর পর সেখান থেকে থেকে নির্গত কয়লার ছাইকে সুন্দরবনের পরিবেশের জন্য এক নম্বর হুমকি হিসেবে চিহ্ণিত করা হয় ইউনেস্কোর ওই প্রতিবেদনে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নির্গত বর্জ্য এবং পানিকে দ্বিতীয় হুমকি হিসেবে গণ্য করে ইউনেস্কো।
এই প্রকল্পকে ঘিরে সুন্দরবন এলাকায় যেভাবে জাহাজ চলাচল বাড়বে এবং ড্রেজিং করার দরকার হবে, সেটিও সুন্দরবনের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
আর সবশেষে বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ঘিরে ওই অঞ্চলের সার্বিক শিল্পায়ন এবং উন্নয়ন কর্মকান্ডও সুন্দরবনের পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলবে বলে মনে করে ইউনেস্কো।
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার এবং ইন্টারন্যাশনাল কনজার্ভেশন ইউনিয়ন (আইইউসিএন) এর তিনজন বিশেষজ্ঞ সরেজমিনে ঘুরে দেখে এবং বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ওই রিপোর্টটি তৈরি করেন।
রিপোর্টে বলা হয়, যেখানে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে, সেটি সুন্দরবনের সীমানা থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এনভায়রনমেন্টাল ইম্প্যাক্ট এসেসমেন্টের (ইআইএ) জন্য আইউসিএন যে নির্দেশনা দিয়েছিল, তা ঠিকমত মেনে চলা হয়নি বলে উল্লেখও করা হয় ওই রিপোর্টে।
এছাড়া সুন্দরবনের পরিবেশের জন্য ক্ষতি এড়াতে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে ধরনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং যেরকম আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলা উচিত, সেটাও করা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করা হয় ইউনেস্কোর রিপোর্টে।

About Dhakar News

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x

Check Also

তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন আজিমপুর কবরস্থানে : ওবায়দুল কাদের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল ...

শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন : শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিনে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ...

বিএনপির গণসমাবেশ:রাতভর পুলিশি অভিযানে আটক ২০

বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। রাতভর ...

কোনো ছাড় নয়, ডিসেম্বরের চেয়ে কড়া খেলা হবে : ওবায়দুল কাদের

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো ছাড় হবে না। ডিসেম্বরের চেয়ে ...

নাইকো দুর্নীতি মামলা: খালেদা জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ ১৯ অক্টোবর

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৯ ...