ইয়েমেনে প্রায় এক কোটি শিশুর জরুরি মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ। ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে দেশটি সৌদি জোটের অব্যাহত আগ্রাসনের মুখে রয়েছে।
ইউনিসেফের ইয়েমেন দফতর এ বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটির বেশির ভাগ শিশুর মৌলিক স্বাস্থ্য সেবা, পর্যাপ্ত পুষ্টি, বিশুদ্ধ খাবার পানির প্রয়োজন রয়েছে। একই সঙ্গে কার্যকর পয়নিষ্কাশন এবং শিক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলেছে, পরবর্তী বেলার খাবার কোথা থেকে আসবে ইয়েমেনের এক কোটি ৭০ লাখের বেশি শিশু তা জানেই না।
পাশাপাশি রাজধানী সানায় সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী জেমি ম্যাকগোল্ডরিক বলেন, কলেরার প্রকোপ ঠেকানোর অর্থ যোগান দেয়ার জন্য অপুষ্টি প্রতিরোধ কর্মসূচি থেকে অর্থ সরিয়ে নিয়েছে বেশির ভাগ ত্রাণগোষ্ঠী। এতে দেশটিতে অপুষ্টি প্রতিরোধ কর্মসূচি তহবিল সংগ্রহের কঠোর সংগ্রামে পড়েছে এবং ইয়েমেনে দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষের অশনি সংকেত।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য জাতিসংঘ যথাসাধ্য চেষ্টা করছে তবে এ অবস্থা সামাল দেয়ার সাধ্য বিশ্বসংস্থার নেই।
এদিকে জাতিসংঘ মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, এপ্রিলে ইয়েমেনে মহামারীর আকারে কলেরার প্রকোপ দেখা দিয়েছে এবং বর্তমানে দেশটির ২১ প্রদেশের সব কটিতে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
দেশটিতে এ পর্যন্ত দুই লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আর এর মধ্যে মারা গেছে এক হাজার ছয়শর বেশি মানুষ।
