পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পাহাড়ে আজ নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে। গতকাল গভীর রাতে পুলিশের গুলিতে তাদের এক সমর্থক নিহত হয়েছে বলে দাবী করেছে গোর্খা ন্যাশানাল লিবারেশন ফ্রন্ট।
তারই প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে সোনাদায় একটি থানা ও বিশ্ববিখ্যাত ট্রয় ট্রেনের একটি স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ভাঙ্গচুর চালানো হয় পুলিশ বুথ ও গাড়িতেও।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ ছড়ায় দার্জিলিং শহরেও।সেখানে বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশকে প্রথমে লাঠি চার্জ করতে হয়, তারপরে কাঁদানে গ্যাসের শেল, অবশেষে রবার বুলেট ব্যবহার করতে হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রগুলি বলছে দার্জিলিংয়েও একজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু প্রশাসন এখনও দ্বিতীয় মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে নি।
গোর্খা ন্যাশানাল লিবারেশন ফ্রন্ট বা জি এন এল এফ দাবী করছে সোনাদা এলাকায় তাদের এক সহকর্মী যখন অনেক রাতে ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরছিলেন, তখনই পুলিশ তাকে গুলি করে মেরে ফেলেছে।প্রশাসন এই দাবী উড়িয়ে দিয়েছে, তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কলকাতায় জানিয়েছেন, “কী করে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কারও যদি দোষ থাকে তাহলে শাস্তি দেওয়া হবে তাকে।”
একই সঙ্গে মমতা ব্যানার্জী হিংসা পরিত্যাগ করলে পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি এও অভিযোগ করেছেন যে দার্জিলিংয়ে হিংসা থামাতে যে পরিমান কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী চাওয়া হয়েছিল, তা দিল্লি থেকে পাঠানো হয় নি।
তবে আজ নতুন করে গন্ডগোল ছড়িয়ে পড়ার পরে সোনাদা আর দার্জিলিং শহরে এক কলাম করে, মোট দুই কলাম সেনা নামানো হয়েছে। তারা রাস্তায় টহল দিতে শুরু করার পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে বলে দার্জিলিংয়ের স্থানীয় সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন।
