অসলোর একটি পাহাড়ের খাড়া অংশ বা ক্লিফের উপরিভাগ থেকে এমনভাবে বেরিয়ে এসেছিল প্রস্তর খণ্ডটি, দূর থেকে মনে হতো যেন এক উত্থিত পুরুষাঙ্গ।
এটি পর্যটকদের কাছে পরিচিত ছিল ‘ট্রলপিক্কেন’ নামে। নরওয়েজিয়ান ভাষার এই শব্দটির বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘দানবের পুরুষাঙ্গ’।
এটি ছিল পর্যটকদের জন্য অন্যতম এক আকর্ষণ।
কিন্তু গতমাসে একদিন আবিষ্কার হয় ‘ট্রলপিক্কেন’ আর আগের জায়গায় নেই। ভেঙে পড়ে আছে পাহাড়ের গভীর খাদে।
বিচার বিশ্লেষণ করে পুলিশ জানায়, এটি এমনি এমনি ভেঙে পড়েনি, কেউ এটি ভেঙে ফেলেছে।এখন সেটিকে সংস্কার কাজের মাধ্যমে আবার জোড়া দেয়া হচ্ছে।
প্রায় বারো টন ওজনের এই প্রস্তর খণ্ডটিকে উপরে তুলে জোড়া দেয়ার জন্য বানানো হয়েছে বিরাট এক মাচা।
ক্রেন দিয়ে সেটিকে সেই মাচার উপর তোলা হয়েছে।
তারপর যে খাড়া পাহাড়টি থেকে বেরিয়ে এসেছিল এটি, সেখানে আবার সেখানে জুড়ে দেয়া হচ্ছে সিমেন্ট, আঠা আর ধাতব বন্ধনীর মাধ্যমে।
সংস্কার প্রায় শেষের দিকে এখন, যদিও পর্যটকদের এটিকে পূর্বাবস্থায় দেখবার জন্য আরও অন্তত এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা লাগবে।
ক্রাউড ফান্ডিং বা গণ চাঁদার মাধ্যমে এই সংস্কার কাজটি চালানো হচ্ছে।
গত মাসে ভেঙে ফেলার কয়েকদিন পর একদল মানুষ একটি প্রচারণা শুরু করেছিল, যেটির শিরোনাম তারা দিয়েছিল “দ্য ট্রল’স পেনিস উইল বি রি-ইরেকটেড” বা “দানবের পুরুষাঙ্গ আবার উত্থিত হবে”।
সেই প্রচারণায় সাড়া দেয় প্রায় এক হাজার মানুষ।
জোগাড় হয়ে যায় সাতাশ হাজার ডলারের সমপরিমাণ সোয়া দুই লাখ ক্রোনারেরও বেশী চাঁদা।
সেই টাকাতেই এখন ‘আবার উত্থিত’ হচ্ছে সেই ‘দানবের পুরুষাঙ্গ’।
