এবার প্রতারক চক্র কবলে পড়েছেন জাতীয় সংসদের সদস্য আয়েন উদ্দিন। তিনি রাজশাহীর পবা-মোহনপুর আসনের সংসদ সদস্য। তার ফেসুবক আইডি হ্যাক এবং মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে ৩০ থেকে ৪০ জন এমপির নিকটাত্মীয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকচক্র। এ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ওই এমপি।
রবিবার আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য ও গ্রামীন ফোনকে এমন একটি অভিযোগ দিয়েছেন আয়েন উদ্দিন এমপি।
সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন বলেন, বেশকিছুদিন আগে তার মোবাইল ফোন চুরি হয়ে গেছিল। এরপর আমার ফেসবুক আইডিটি হ্যাক করা হয়। পরে মোবাইল ফোন নম্বরও ক্লোন করে ওই প্রতারক চক্র। এরপর আমার ফেসবুক আইডি ও মোবাইল ফোন থেকে যাকে তাকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে বা ফোন করে চাঁদা দাবি করা হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক ভিসির কাছেও আমার নম্বর থেকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। তিনি চাঁদা না দেয়ায় তাকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে গালাগালি করা হয়েছে। এভাবে চাঁদা না দেয়ায় অনেকেকে গালাগালি ও অশ্লিল মন্তব্য করে ম্যাসেজ দেয়া হচ্ছে। এতে করে আমি বিব্রকর অবস্থায় রয়েছি।
এদিকে, শনিবার রাতে আয়েন তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি লিখেন, ‘আমার আইডি অনেকদিন আগেই হ্যাক করা হয়েছে। এই আইডি হতে যাদের কে বিরক্তিকর ম্যাসেজ, গালিগালাজ দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে- তা আমার না। আমার কাছে যে অভিযোগ আসছে, তার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।’
সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের একান্ত সহকারি ইকবাল হোসেন বলেন, এমপির দুইটি মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করা হয়েছে। একটি গ্রামীন ফোন ও অপরটি বাংলালিংক। ওই দুই নম্বর থেকে ফোন ও এমপিদের ফেসবুক আইডি থেকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে তার পরিবারের সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী এমন ৩০ থেকে ৪০ জনের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেছে ওই প্রতারক চক্র। পাঁচ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে সম্প্রতি রাজশাহীর তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র গোলাম রাব্বানীর ফেসবুক আইডি হ্যাক ও মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে একাধিক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করা হয়। এরপর তারা বিষয়টি জানতে পারলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ এ চক্রের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। খুব শীঘ্রই এ চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হবে।
