চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোষবিলা গ্রামে মা ও মেয়েকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার রিনা খাতুন শনিবার বিকেলে আলমডাঙ্গা থানায় নারী নির্যাতন দমন আইন ও অপহরণ মামলা দায়ের করে। এই ঘটনায় রোববার রাতে প্রধান আসামি মিস্টারসহ চারজনকে আটক করছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলো উপজেলার ঘোষবিলা গ্রামের মিষ্টার, রসুল, হারুন ও রহিম।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনএর ৭/৩০ ততসহ প্যানাল কোড ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৫০৬/৩৪ ধারা মোতাবেক মামলা দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে আসামিদেরকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোর্পদ করা হবে।
প্রসঙ্গত জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়ানের ঘোষবিলা গ্রামের মসজিদপাড়ার মিষ্টার আলির ঘরের টিনের চালে কে বা কারা বেশ কিছু দিন ধরে ইট নিক্ষেপ করে আসছিল। এই ঘটনার জের ধরে শুক্রবার বিকেলে মিষ্টার আলি, তার স্ত্রী, মা, ভাই ও সন্তান মিলে রিনাকে মারার জন্য লাঠিসোটা নিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় রিনা খাতুন ও তার মেয়ে ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ইয়াছমিন ভয়ে প্রতিবেশি আব্দুল মান্নানের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। মিষ্টার গং সেখান থেকে টেনেহেচড়ে ধরে নিয়ে আসে তাদের বাড়িতে। এরপর বাঁশের খুঁটির সাথে মা-মেয়েকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মিষ্টারসহ পরিবারের সদস্যরা এলোপাথাড়ি লাঠিসোটা ও বাটাম দিয়ে মারপিট করে আহত করে।
এদিকে প্রধান আসামি মিষ্টারের স্ত্রীসহ গ্রামের অনেকে বলেন, ঘটনাটি তুচ্ছ। দুই পরিবারের মহিলাদের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টিকে আলোচিত করার জন্য খুটির সাথে মা-মেয়ের হাত বেঁধে সাংবাদিক ডেকে এনে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছে। ছবিটি তোলার জন্যই তাদেরকে হাত বাঁধা হয়েছে।