বিদায়ী অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৭ দশমিক ২৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, এ সময়ে চাল, শাক-সবজি, কাঁচা মরিচ, ভোজ্য তেল, চা-পাতা, গরু ও খাসির মাংস, দুধসহ অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে।
শুধু খাদ্য পণ্যেই নয়, পরিধেয় বস্ত্র, জ্বালানি ও আলোর খরচও বেড়েছে। সেইসঙ্গে বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র ও গৃহস্থালী পণ্য, চিকিত্সা সেবা, পরিবহন এবং শিক্ষা উপকরণের ব্যয় বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির হার গ্রামীণ অঞ্চলের তুলনায় শহরে বেশি।
গতকাল পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে একনেক বৈঠক শেষে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আগাম বন্যার কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় এমন হয়েছে। তা ছাড়া শেষ প্রান্তিকের সময়কালে বাজেট থাকায়ও মূল্যস্ফীতিতে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিবিএস এর তথ্যে দেখা যায়, গতবছর ডিসেম্বরে দেশে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩৮ ভাগ। এর পর বাড়ছেই। জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ ভাগ। দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৭২ ভাগ, যা আগের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ছিল ৫ দশমিক ২৮ ভাগ।
এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে গ্রামীণ অঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ ভাগ, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৮ ভাগ। শহর পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৬ দশমিক ১৬ ভাগ, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৫ দশমিক ৬৫ ভাগ। অন্যদিকে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে খাদ্য-বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪৭ ভাগ, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৩ দশমিক ১২ ভাগ। উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি থেকে মাস ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রদান বন্ধ করে ত্রৈ-মাসিক ভিত্তিতে তথ্য দেওয়া হচ্ছে।
