এক সম্মলনে মিশরীয় ইসলামধর্ম প্রচারক তার ব্যক্তব্যে বলেছেন, মেলবোর্নের মুসলিমদের মহান দায়িত্ব হল ইসলাম প্রচারের মাধ্যমে অমুসলিমদেরকে পাপ কাজ হতে বিরত রাখা।সুন্নি ফোরামে শেখ ইব্রাহিম জিন্দান বলেন, মুসলিমদের উচিত দুআ করার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ করা।
আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত এসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘যখন মুসলিমরা সংখ্যালঘু তখন তাদের জন্য আবশ্যক হল আল্লাহ্পাকের কাছে বেশি বেশি দুআ করা এবং এটা খুবই কার্যকরী’।
তিনি আরো বলেন, ‘আর আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে না পারি তবে আমরা সবাই গুনাহ্গার হবো’।
তবে অন্যদিকে এর জবাবে ইসলামের সমালোচক আনিয়া হিরসি আলী বলেছেন, ‘মুসলিমরা তাদের রাজনৈতিক শুদ্ধতাকে ইসলাম প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে’।সোমালি-জন্মগ্রহণকারী ইসলামের সমালোচক আনিয়া হিরসি আলী বলেন, অস্ট্রেলিয়ার মুসলিমরা তাদের রাজনৈতিক শুদ্ধতাকে কাজে লাগিয়ে ইসলাম প্রচার করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থেকে ডেইলিমেইল অস্ট্রেলিয়াকে জানান, ‘কিন্তু মুসলিমরা তাদের চিন্তাভাবনায় খুবই মৌলিক। তারা শরিয়া আইনকে উৎসাহিত করে। তারা বিবাহবর্হিভূত নারী-পুরুষ সহাবস্থানেরও বিরোধিতা করে।‘তারা সমকামীতা বিরোধী। তারা ‘ইসলাম ত্যাগের শাস্তি মৃত্যুদন্ড’ এবং ‘ইসলাম সবকিছু উর্ধ্বে’ এই ধারণাগুলো প্রচার করে। সুতরাং তাদের অনুসারীরা ইসলামী মতবাদ প্রচার করে অবিশ্বাসী ব্যক্তির কাছে, অস্ট্রেলিয়ান সমাজে, সমস্ত অমুসলিম সমাজে’।ইসলামের সমালোচক আনিয়া হিরসি আলী আরো বলেন, মুসলিমদেরকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে উৎসাহিত করা হয়।বুখারী হাউস ইসলামিক বুকস্টোর মুসলিম শরিয়া আইন শাস্ত্রের বই বিক্রি করে। ইসলাম ত্যাগ এবং সমকামীতার শাস্তি মৃত্যুদন্ড কীভাবে প্রয়োগ করা হয় তা এ বইতে উল্লেখ করা হয়।২০০৬ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত মুসলিম জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৩ লাখ ৪১ হাজার কিন্তু২০১৬ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় মুসলিম জনসংখ্যা ৬ লাখ ৪ হাজারেরও বেশি যা ২০০৬ সালের জনসংখ্যার দ্বিগুণ।
ডেইলিমেইল অবলম্বনে