গোমাংস বহনের সন্দেহে মুসলিম যুবককে বেধড়ক পিটিয়েছে গোরক্ষকরা

ভারতে কথিত গোরক্ষকদের তাণ্ডব চলছেই। এবার মহারাষ্ট্রের নাগপুরে গোমাংস বহনের সন্দেহে এক মুসলিম যুবককে বেধড়ক পিটিয়েছে কথিত গোরক্ষকরা।
বুধবার মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ভারসিঙ্গি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।স্কুটারে করে গোমাংস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এই সন্দেহে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানো হয় ওই ব্যক্তিকে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনকে আটক করেছে নাগপুর থানার পুলিশ। স্কুটার থেকে পাওয়া মাংস উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, স্কুটারের ডিকিতে করে সব্জি নিয়ে যাচ্ছিলেন স্থানীয় সেলিম ইসমাইল শাহ (৩৬) নামের এক ব্যক্তি। সেই সময়ই তার স্কুটারে গোমাংস রয়েছে এই অভিযোগে সেলিমের উপরে চড়াও হয় চারজনের একটি দল। সেলিমের স্কুটার থামিয়ে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানো হয় তাকে। সেলিমের উপর এলোপাথাড়ি লাথি, চড়, কিল, ঘুষি মারতে থাকে দুর্বৃত্তরা। সেলিমের স্ত্রী জানান, শরীরের ভিতরে একাধিক আঘাত পেয়েছেন সেলিম। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই চার যুবক স্থানীয় বিধায়ক বাচু কাদুর ‘প্রহর সংগঠন’-এর সদস্য।মাসখানেক ধরেই ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিরোনামে উঠে আসছে গোরক্ষক বাহিনীদের তাণ্ডব। গত মাসে গোরক্ষক বাহিনীর হাতে ১৫ বছরের কিশোর জুনেইদের শোচনীয় মৃত্যুর পর নিন্দায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে ভারতজুড়ে। আইন নিজের হাতে না নেয়ার বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।পাশাপাশি দিন দুয়েক আগেই ভারতের হাটে বাজারে গবাদি পশুর কেনা বেচার নিষেজ্ঞার উপরেও তিন মাসের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু এত কিছুর পরেও যে চিত্রটা খুব একটা বদলায়নি তা আরো একবার প্রমাণ হল।