‘জনগণ রাস্তায় নামলে আমাদের কিছুই করার থাকবে না
রাজধানী জুড়ে যানজট, রাস্তায় ময়লা এবং চিকুনগুনিয়া নিয়ে মানুষ মহাদুর্যোগে আছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ। তিনি বলেন, আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে যদি যানজট ও ময়লার সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে জনগণ রাস্তায় নামবে। এতে কিছু করার থাকবে না।
বুধবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে এসব কথাবলেন তিনি।
কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, রাস্তায় বর্জ্যের কারণে মানুষ চলতে পারছে না। দুর্গন্ধে মানুষ যাতায়ত করতে পারছে না। ড্রেনের পানি স্যুয়ারেজ লাইনের ময়লা আর বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে গেছে। সমস্ত রাস্তা ভরে গেছে। অনেক এলাকায় এক হাটু পানি হয়ে গেছে। আমার নির্বাচনী এলাকা আর কে মিশন রোড এলাকার ২০ ফুট রাস্তার ১০ ফুটই ময়লা রাখার জন্য বরাদ্দ দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। মানুষ যেতে পারছে না।
চিকুনগুনিয়া নিয়ে তিনি বলেন, চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে মন্ত্রী বলেছেন ভয়ের কারণ নেই। কিন্তু মোটা গুনিয়াতে তো ভয়ের কারণ আছে। মানুষ যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, যে নামই দেন। মশা মারলেন না, মশার ওষুধ দিলেন না এখন বলেন চিকুনগুনিয়ায় ভয়ের কারণ নেই। আমাদের নির্ভয় দিচ্ছেন, যারা (মেয়ররা) মশা মারবেন তারা তো নির্ভয় দেন না। উনারাতো মশারির ভেতর থাকেন। আজ পর্যন্ত মশা মারার উদ্যোগ দেখলাম না। সাধারণ লোকরা পানির মধ্যে বসাবাস করে। মশার মধ্যে ঘুমাতে হয় খেতে হয়। মানুষ যাবে কোথায়।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর সমালোচনা করে কাজী ফিরোজ বলেন, মন্ত্রী বলেছেন ভিআইপিরা উল্টো পথে যাতায়াত করেন। হয়তো দুই একজন উল্টো পথে যাতায়াত করেন। আজ তো উল্টো পথেও যাতায়াত বন্ধ। রাস্তার দুই পথই বন্ধ। রাস্তা যখন বন্ধ হয় গোটা শহরে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। কার কাছে বলবো, কোথায় বলবো, কার কাছে বললে সমাধান হবে তাও জানি না। সমস্ত কিছু যদি একজনকেই দেখতে হয়, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীকে। তাহলে এত মন্ত্রী, মেয়র উনাদের কাজ কি? প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কোথাও আর কারো কিছু দেখার নেই? কাউকেই কোথাও জবাব দিহি করতে হয় না।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, জবাবদিহি করতে হবে। সামনে মহাপ্লাবন, সামনে নির্বাচন। জবাবদিহি কিন্তু করতে হবে। জবাবদিহি সেদিন জনগণ ঠিকই নেবেন। জনগণের কাছে প্রত্যেকটা প্রশ্নের জবাব দিয়ে ভোট চাইতে হবে। সেদিন বুঝবেন কত ধানে কত চাল হয়। আজ অনেকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। জনগনকে আজকে কোন পাত্তাই দিচ্ছেন না। কিন্ত জনগণের কাছে আমাদের যেতে হবে। আর যদি মনে করেন না, আগের মত একটা নির্বাচনের দিয়ে ঘরে বসেই নির্বাচন করবেন। সেটা আর হবে না। সেই দিন শেষ হয়ে গেছে। তাই আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে যদি ময়লা আর যানজটের সমস্যার নিরসন না হয় তাহলে জনগণ কিন্তু রাস্তায় নামবে তখন আমাদের কিছু করার থাকবে না।
