চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত ত্রিপুরাপাড়ায় ‘অজানা রোগে’ ৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত চার দিনে এসব শিশু মারা যায়। এর মধ্যে গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মারা গেছে চারজন। তাদের প্রত্যেকের বয়স তিন থেকে ১২ বছর বলে জানা গেছে।অসুস্থ হয়ে আরো ৪৬ শিশু চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ‘অজানা রোগে’ শিশুমৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, কী কারণে চার দিনে এত শিশু মারা গেছে তা পরীক্ষা না করে বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি ঢাকায় আইইডিসিআর (ইনস্টিটিউট অব ইপিডেমিওলজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ) দপ্তরে জানানো হলে সেখান থেকে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. ফারুক আহমেদ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে চার সদস্যর একটি বিশেষজ্ঞদল চট্টগ্রাম যায়। এ দলে আরও আছেন ফাইরোলজিস্ট ডা. মনজুরুল হক খান, এপিডেমিওলজিস্ট ডা. মনিসুল ইসলাম ও একজন ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট। দলটি গতকালই তাদের কাজ শুরু করেন এবং আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন শিশুদের রক্তসহ আনুষাঙ্গিক বিষয়াদির নমুনা সংগ্রহ করেন।
সর্বসাম্প্রতিক অবস্থা ও অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে জানতে চাইলে আইইডিসিআর এর বিশেষজ্ঞদলের প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. ফারুক আহমেদ ভূঁইয়া কালের কণ্ঠক বলেন, দীর্ঘদিনের মারাত্মক অপুষ্টির কারণেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব। এটি নতুন কোনো রোগ নয় বলেই আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি। চিকিৎসাধীন যেসব শিশুদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের অধিকাংশরই বয়স ২ থেকে ৬ বছরের মধ্যে। এরা দীর্ঘদিন ধরে অপুষ্টির ফলে রক্ষশূন্যতা, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়া, গায়ে র্যাশ ওঠা, মুখে ঘা, কাশি ও ডায়রিয়াসহ নানা সমস্যায় ভুগছে। এরপরও আমরা সংগৃহীত নমুনাগুলো ল্যাবে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে আপনাদের বিস্তারিত জানাব।