

বনানীর ধর্ষণ মামলায় সাফাতসহ ৫ জনের বিচার শুরু
রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এ অভিযোগ গঠনের ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার বিচার শুরু হলো।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সফিউল আজম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ২৪ জুলাই দিন ঠিক করে দেন।
চার্জশিটে ধর্ষণ ঘটনার সঙ্গে পাঁচজন জড়িত বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘ই-মেকার্স’ এর কর্মকর্তা নাঈম আশরাফ, ঢাকার পিকাসো রেস্তারাঁর মালিক রেগনাম গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ এবং সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী। চার্জশিটে সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। বাকি তিনজন ধর্ষণে সহায়তা করেছেন। চার্জশিটে ৪৭ জনকে সাক্ষী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গত ২৮ মার্চ বনানীতে ঝালকাটির রাজাপুর আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের মালিকানাধীন দ্য রেইনট্রি হোটেলে দুই ছাত্রীকে আটক রেখে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে ওই দুই ছাত্রী বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা গ্রহণে গড়িমসি করায় ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার মানস কুমার পোদ্দার ও বনানী থানার ওসি ফরমান আলীর বিরুদ্ধে পুলিশ একটি তদন্ত করে।
এছাড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জেরার মুখে পড়ে দ্য রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদনান হারুন ও ম্যানেজার ক্রাঙ্ক ফরগেট মামলা দায়ের পরপর পুলিশ পর্যায়ক্রমে পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করে রিমাণ্ডে নেয়। এদের মধ্যে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ।
