বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বেসরকারি রিফাইনারীসমূহের অপরিশোধিত কনডেনসেট ও নিম্নমানের পণ্য খোলাবাজারে পাওয়ার ফলে দেশে ভেজাল জ্বালানী বিক্রির প্রবণতা তৈরি হয়। বিপিসির অনুসন্ধানে বিষয়টি দৃশ্যমান হলে ভেজাল জ্বালানী তেলের বিক্রয় বন্ধ ও মান নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’তিনি জানান, ‘তিনটি ফিলিং ষ্টেশনের লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিল এবং ১২টি ফিলিং ষ্টেশনের বিক্রয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। ৩৫৮টি প্যাকড পয়েন্ট ডিলার ও ২২৪টি এজেন্ট এর লাইসেন্স বাতিল করা হয়। ১৫৫টি প্যাকড পয়েন্ট ও ২০৫টি এজেন্টের লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।বৃহস্পতিবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি মালিকানাধীন প্ল্যান্টে উৎপাদিত সকল পণ্য বিপিসি কর্তৃক ক্রয় ও মনিটরিং করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় দেশব্যাপী নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। বেসরকারি ৪টি রিফাইনারীর অনুকূলে কনডেনসেট সরবরাহ স্থগিত রাখা হয়। বর্তমানে সকল বেসরকারি রিফাইনারীর অনুকূলে কনডেনসেট সরবরাহ প্রদান করা হচ্ছে।’ এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এবং দেশব্যাপী নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ভেজাল জ্বালানী বিক্রি বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি রিফাইনারীসমূহের অপরিশোধিত পণ্য হ্রাসকৃত মূল্যে ক্রয় করে আমদানিকৃত পণ্যের সাথে ব্লেন্ডিং করে মান উন্নীত করে বিপনন করা হচ্ছে। দেশে জ্বালানী নিরাপত্তার স্বার্থে গৃহীত এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়।বৈদ্যুতিক খুটিতে স্থাপিত তার ও নেটওয়ার্ক কানেকটিভিটি বন্ধে কার্যক্রম গ্রহণ
দুর্ঘটনার ঝুকি থাকায় বৈদ্যুতিক খুটিতে স্থাপিত সকল প্রকার তার ও নেটওয়ার্ক কানেকটিভিটি বন্ধে সরকার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘দুর্ঘটনার ঝুকি থাকায় বৈদ্যতিক খুটিতে স্থাপিত সকল প্রকার তার ও নেটওয়ার্ক কানেকটিভিটি বন্ধে সরকার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিক নির্দেশনায় বিদ্যুৎ বিভাগ বৈদ্যুতিক খুটিতে স্থাপিত সকল প্রকার তার ও নেটওয়ার্ক অপসারণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ডিপিডিসি এবং ডেসকোর উদ্যোগে ঢাকার অনেক এলাকায় ইতোমধ্যে ঝুলন্ত তার অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিকমিনিউকেশন রেগুলেটরী কমিশন (বিটিআরসি) বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানিসমুহ, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক অপারেটরের সহায়তায় অবৈধ এবং ঝুকিপূর্ণ অভারহেড ক্যাবলসমূহ আন্ডারগ্রাউন্ডে স্থানান্তরের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এই কার্যক্রমের আওতায় বৈদ্যুতিক খুটিতে স্থাপিত অভারহেড ক্যাবলসমূহ আন্ডারগ্রাউন্ডে স্থানান্তর করার জন্য সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড ও ফাইবার এট হোম ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের সাথে চুক্তি সাক্ষর করা হয়েছে। বর্তমানে এই কার্যক্রম বাস্তাবায়নাধীন আছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক খুটিতে ঝুলন্ত ও ঝুকিপূর্ণ তার অপসারণের কার্যক্রম তদারকির জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ, বিটিআরসি ও বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা এবং সার্ভিস প্রোভাইডারদের সমন্বয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি প্রতি মাসে ঝুলন্ত ও ঝুকিপূর্ণ নেটওয়ার্ক বা তার অপসারণ কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদন বিদ্যুৎ বিভাগে দাখিল করে থাকে।’
