কাতার ও সৌদি মিত্রদের সরাসরি আলোচনার আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন সংকট নিরসনে সৌদি আরব ও তার মিত্রদের কাতারের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।চার দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরের শেষ দিন কাতার ত্যাগ করার সময় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার টিলারসন এ আহ্বান জানান।সৌদি থেকে ওয়াশিংটন ফেরার পথে বৃহস্পতিবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আবার কাতারে আসেন টিলারসন। এ সময় তাঁর সঙ্গে কুয়েতের একজন মধ্যস্থতাকারীও ছিলেন।বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হেথার নুয়ার্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকের ওপর ভিত্তি করে মন্ত্রী (টিলারসন) মনে করছেন, বিবদমান দেশগুলো সংকট নিরসনে পরবর্তী ধাপে সরাসরি আলোচনায় বসবে।’নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমার কথা উল্লেখ না করেই হেথার বলেন, ‘ভবিষ্যতে কী ঘটে, আমরা তা দেখার অপেক্ষায় আছি।’
কাতারের রাজধানী দোহা থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক হাশেম আহেলবারা জানিয়েছেন, কাতার মনে করছে না যে খুব তাড়াতাড়ি এ সমস্যার সমাধান হবে। তিনি বলেন, ‘কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কুয়েতের মধ্যস্থতাকারী সংকট নিরসনের নিমিত্তে ভবিষ্যতের যেকোনো চুক্তির জন্য নতুন পন্থা খুঁজছেন। কিন্তু আমরা বলছি, অচিরেই তেমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে না।’আহেলবারা বলেন, ‘টিলারসন দোহা ত্যাগ করেছেন। তবে কাতার কর্তৃপক্ষ তাদের আগের অবস্থানেই আছে। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, অবরোধ তুলে নেওয়ার আগপর্যন্ত তারা কোনো সমঝোতায় যেতে রাজি নয়। আর কাতারের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানে এমন কিছুও তারা মেনে নেবে না।’
চলতি বছরের ৫ জুন সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি ও তার মিত্র দেশগুলো। যদিও কাতার বরাবর এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
অবরোধের এক মাস পরও সংকট না কাটায় আলোচনা শুরুর সুযোগ তৈরি করতে গত সোমবার কুয়েত সফরে যান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে মঙ্গলবার তিনি দোহায় যান। একই দিনে দেশটির সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় চুক্তি সম্পাদনের পরের দিন সৌদির জেদ্দামুখী হন টিলারসন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, কাতার সংকট নিয়ে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ আল সৌদের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর পর তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন ও মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর মধ্যে গত বুধবার সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কাতারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।-আল জাজিরা
