রৌমারীতে হাজার-হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। নৌকা দেখলেই পানি অতিক্রম করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশু-নারী-পুরুষ ছুটে আসছে নৌকার দিকে।
আষাঢ়ের শুরুতেই টানা বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা কুড়িগ্রামের তিস্তা, দুধকুমর, ধরলা, জিনজিরাম, সোনাভরি ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুরের শত-শত গ্রাম প্লাবিত হয়। রৌমারী ও রাজিবপুরের বাঁধের পশ্চিম পারের বদরপুর, কেচুমারী, ভেরামারী, খারুভাজ, চরনেওয়াজী, নয়ারচর, ঢাকাইয়া পাড়া, বড়বের, রৌমারীর, চরবাঘমারা, কান্দাপাড়া ফলুয়ারচর, বড়চর, কুটিরচর, খেদাইমারী, বাইশপাড়া, খনজনমারা, ঘুঘুমারী, সাহেবের আলগা, চরইটালুকান্দা, গাছবাড়ী, কাজাইকাটাসহ অর্ধশত গ্রামের হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে মানবতর জীবন যাপন করছে।
বাড়ি ঘরে পানি ওঠায় রান্না করে খেতে খেতে পারছে না তারা। টিউবওয়েলগুলো তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল আলম বলেন, রাজিবপুরে বন্যায় তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। বন্যার তোড়ে ভেঙে গেছে কাঁচাপাকা সড়ক । বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ৩৬ মেট্রিক টন চাল ও ত্রাণ শাখা থেকে শুকনা খাবারের জন্য দেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া তার নিজস্ব তহবিল থেকে বানভাসীদেরকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান বঙ্গবাসী জানান, রৌমারীর ৬টি ইউনিয়নে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ৫৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। তবে এলাকার চিত্র অনুযায়ী সামান্য বরাদ্দ বানভাসীদের জন্য অপ্রতুল।
