কুড়িগ্রামের রৌমারী ও চিলমারী উপজেলায় বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণের যে চাল দেয়া হচ্ছে তা নিম্নমানের, দুর্গন্ধযুক্ত, খাওয়ার অযোগ্য। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মহিবুল হক আর জেলা সদরের গুদাম কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম দু’জনে যোগসাজেস করে ব্যবসায়ির কাছ থেকে নিম্নমানের চাল কিনে তা সরবরাহ করেছে ওই দু’উপজেলায়। আজ শনিবার সরেজমিনে বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ত্রাণের যে চাল বিতরণ করা হচ্ছে তা দুর্গন্ধযুক্ত। জানা গেছে, রৌমারী ও চিলমারী উপজেলা খাদ্য গুদামে চালের সংকট থাকার কারনে জেলা খাদ্য গুদাম থেকে ওই দু’উপজেলায় চারশ টন চাল সরবরাহ করে গত ১০ জুলাই। নিয়ম অনুসারে আমন চাল সরবরাহ করার। কিন্তু তা না করে ব্যবসায়িদের কাছ থেকে কম দামের বোরো ধানের পুরনো খাওয়ার অযোগ্য চাল কিনে তা সরবরাহ করেছে। এতে প্রতি কেজিতে ৪ টাকা কমে চারশ টন চালে প্রায় ২০ লাখ টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জনমনে না আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।এ ব্যাপারে রৌমারী ও চিলমারী গুদাম কর্মকর্তা জানান, আমাদের যে চাল সরবরাহ করা হয়েছে আমরা সেটাই বিতরণ করেছি। ভালো খারাব আমাদের না বলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে বলেন। এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম সদর গুদাম কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম কমদামে নিম্নমানের চালের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমন ধানের চালই সরবরাহ করা হয়েছে। তাছাড়া চালই পাওয়া যায় না। মিলাররা তাদের চুক্তি পালন করছে না।অভিযোগ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মহিবুল হক বলেন, বাইর থেকে কমদামে নিম্নমানের চাল সরবরাহ করা হয়েছে-এমন বিষয় আমার জানা নেই। সদর গুদাম থেকেই চাল সরবরাহ করার কথা।
