সৌদি আবর, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইয়েমেন, লিবিয়া ও মালদ্বীপ কাতারের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পাশাপাশি দেশটির ওপর সার্বিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্ত হিসেবে কাতারভিত্তিক নিউজ নেটওয়ার্ক আল জাজিরা বন্ধ, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক সীমিত করাসহ ১৩টি দাবি জানানো হয়েছিল সৌদি জোটের পক্ষ থেকে। তবে এ দাবি থেকে আলজাজিরাকে বাদ দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক মন্ত্রী।
দ্য টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল ন্যাশনাল কাউন্সিলের মন্ত্রী নউরা আল-কাবি বলেন, আলজাজিরা বন্ধ করার বদলে তারা এ প্রতিষ্ঠানটির সাংগঠনিক পরিবর্তন ও বিধিনিষেধ আরোপের কথা চিন্তা করছেন। এতে চ্যানেলটির কর্মীরা তাদের চাকরি বজায় রাখতে পারবেন বলেও জানান তিনি।এ ছাড়া কাতার ও চারটি আরব রাজ্যের মধ্যকার সংকট সমাধানে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী বলে জানায় ফ্রান্স। শনিবার দোহায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্য-ইভস লু দুরিও।
কাতারের আমির শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরাহমান আল থানির সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কুয়েতের নেতৃত্বে মধ্যস্থতা করবে ফ্রান্স। কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর যে অবস্থান নিয়েছে, সে সংকট সমাধানে উপসাগরীয় অঞ্চলে সফরের অংশ হিসেবে কাতার পৌঁছেছেন লি দারিয়ান।
এছাড়া কাতারের সংকট সমাধানে চারদিনের সফর শেষ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। কিন্তু এ সফরে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং কাতারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে দোহার যে কূটনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে, তা একদিনে সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাতারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে বলে জানিয়েছে।
সূত্র : আল-জাজিরা