কুড়িগ্রামে কৃষি ক্ষেত্রেও এবার বন্যা আঘাত হেনেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরের বেশি আঊশ-শাকসব্জি-পাট ক্ষেতসহ আমন বীজতলা। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানিতে তলিয়ে থাকায় অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতির শিকার হয়েছেন হাজার-হাজার চাষি।
বৃষ্টি আর উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ ১৬ নদ-নদীতে পানি বাড়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে জেলার ৭ উপজেলার ৪২টি ইউনিয়নের প্রায় ৫শ’ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৫৪৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে এসব এলাকার পাট, রোপা আমন বীজতলা, আঊশ এবং পোটল, ঝিঙ্গা, ঢেড়স ও করলাসহ শাকসব্জি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। পাট ছাড়া অন্যান্য ক্ষেতগুলো দীর্ঘ সময় ধরে পানিতে তলিয়ে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে। লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা। তারপরও নতুন করে বীজতরা তৈরি করে আমন আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানালেন জনপ্রতিনিধিরা। এদিকে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আসন্ন রবি মৌসুমে আগাম গম, ভুট্টা, চিনাবাদাম, আলু ও সরিষা আবাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানালেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্র জানিয়েছেন, বন্যায় ৩৩০ হেক্টর আঊশ ও ৫৪০ হেক্টর শাকসব্জি ক্ষেত এবং ৪৫০ হেক্টর রোপা আমন বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এছাড়া ২ হাজার ৩০০ হেক্টর পাট ক্ষেত আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৪৪ হাজার ২৮১ জন চাষি।-সময় টিভি
