যুক্তরাজ্যের লন্ডনে মাত্র নব্বই মিনিট সময়ে ৫টি আলাদা অ্যাসিড হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাগুলোয় জড়িত সন্দেহে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ওই কিশোরের বিরুদ্ধে ১৫টি পৃথক পৃথক অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার তাকে জেলহাজত থেকে স্ট্র্যাটফোর্ড ইয়ুথ কোর্টে হাজির করা হবে।বৃহস্পতিবার উত্তর ও পূর্ব লন্ডনে হওয়া হামলাগুলোয় জড়িত সন্দেহে আটক ১৫ বছর বয়সী আরেক কিশোর জামিনে ছাড়া পেয়েছে।১৬ বছর বয়সী মূল সন্দেহভাজন ওই কিশোরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে: তিনটি ডাকাতি, চারটি ডাকাতি চেষ্টা, একটি বিপজ্জনক পদার্থ নিক্ষেপের যোগ্য বস্তু রাখা, পাঁচটি ইচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মক শারীরিক ক্ষতিসাধন চেষ্টা, একটি ইচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মক শারীরিক ক্ষতিসাধন এবং একটি চুরি করা বস্তু ব্যবহারের অভিযোগ।পাঁচটি ঘটনারই তদন্ত ‘চলছে’ বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।অ্যাসিড হামলার শিকার পাঁচজনই ঘটনার সময় মোপেড (তুলনামূলক ধীরগতির ছোট মোটরবাইক) চালাচ্ছিলেন বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন মেট’স হ্যাকনি বরোহ্’র চিফ ইনস্পেকটর বেন ক্লার্ক। আক্রান্তদের একজনের ক্ষত ‘জীবন পাল্টে দেয়ার মতো’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।এ ঘটনায় ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস জুড়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ অপরাধের সাজা আরও কঠোর করার জোর দাবি উঠেছে। মন্ত্রীরা দফায় দফায় ফোন পাচ্ছেন আইন আরও কঠোর করার দাবি নিয়ে।পুরো দেশ জুড়েই অ্যাসিড ও এ জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্যাদি বিক্রি ও নিজের কাছের রাখার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপের ব্যাপারেও বলা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে।ইংল্যান্ডে অ্যাসিডের মতো বিপজ্জনক এবং দহনকারী পদার্থ ব্যবহার করে হামলার ঘটনা ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৬-১৭ সময়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে ৫০৪-এ দাঁড়িয়েছে বলে পুলিশের দেয়া তথ্য অনুসারে জানিয়েছে বিবিসি।অন্যদিকে ন্যাশনাল পুলিশ চিফ’স কাউন্সিল জানিয়েছে, গত এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ছ’মাসেই এ ধরণের ৪শ’টি হামলার ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়েছে। যেসব ঘটনায় হামলাকারীকে খুঁজে বের করা গেছে, সেগুলোর প্রতি পাঁচটির একটিতেই অভিযুক্তের বয়স আঠারোর নিচে।
