নির্দিষ্ট সময়ের থেকে বেশি কাজ করলে হতে পারে হৃদরোগ। তার মধ্যে অন্যতম হল, হৃদস্পন্দনের অনিয়মিত হার। লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের গবেষকরা সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমনই তথ্য প্রকাশ করেছেন।
১৯৯১ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে ৮৫ হাজার ৪৯৪ জনের উপরে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন গবেষকরা।
কর্মজীবন শুরুর মুহূর্তে নেয়া তথ্যে দেখা গিয়েছিল, এদের সবার হৃদস্পন্দনের হার স্বাভাবিক আছে। সমীক্ষার জন্য এরপরেই কাজের সময় অনুসারে এদের কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করেন গবেষকরা। সপ্তাহে ৩৫ ঘণ্টার কম কাজ করেন এমন কর্মীদের একটি স্তর, ৩৫ থেকে ৪০ ঘণ্টার একটি স্তর, ৪১ থেকে ৪৮ ঘণ্টার একটি স্তর, ৪৯ থেকে ৫৪ ঘণ্টার একটি স্তর ও ৫৫ ঘণ্টার বেশি একটি স্তর।
পরের ১০ বছর ধরে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা যায়, এক হাজার জনের মধ্যে ১২.৪ শতাংশ মানুষের হৃদযন্ত্রে ছন্দপতনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি, মানে সপ্তাহপিছু ৫৫ ঘণ্টার উপর যারা কাজ করছেন তাদের ক্ষেত্রে সেই হার ১৭.৪ শতাংশ।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত কাজের ফলে অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় প্রায় ১.৪ শতাংশ। শুধু তাই নয়, রোজকার জীবনের নানা প্রতিকূলতা এর সাথে যুক্ত হয়ে শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ করে দিতে পারে। এর ফলে বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা।
গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্রের অনিয়মিত স্পন্দনের রোগে ভোগেন এমন ৯০ শতাংশ মানুষের আগে হৃদয়ের কোনো রোগ ছিল না।
সমীক্ষকদের দাবি, এই তথ্য প্রমাণ করে যে, রোগের পিছনে বংশগত কোনো অসুস্থতা নয়, স্বাভাবিকের থেকে বেশি কাজ করাই একমাত্র কারণ।
সূত্র : ইন্টারনেট
