ভয়াবহ ভাঙনের মুখে পড়েছে ভোলার সাগরকুলের পর্যটন এলাকা ঢালচর। গত ২ মাসে ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে এ ইউনিয়নের দু’টি বাজার, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, বনবিভাগ অফিস ও স্কুল-মাদ্রাসাসহ সহস্রাধিক ঘরবাড়ি। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বাজার, আশ্রয়কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ আরো ৩টি গ্রাম।
ঢালচর ইউনিয়নের দাললপুর গ্রামের বাসিন্দা মুজাম্মেল হক মাঝি। দুই মাস আগেও আধাপাকা দুটি ঘর, বাগানবাড়িসহ সাড়ে ৪ একর জমির মালিক ছিলেন তিনি। মেঘনার ভাঙনে সবর্স্ব হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে পাশের কচ্চপিয়া গ্রামে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।তার মতো একই অবস্থা ঢালচরের দালালপুর, আদর্শপাড়া, শান্তি নগর, কেরামতগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর গ্রামের সহস্রাধিক পরিবারের। ভাঙন অব্যাহত থাকায় পশ্চিম ঢালচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স, ৭টি আশ্রয়ণ প্রকল্প, মুজিব কিল্লাহ সরকারি, বেসরকারি বহু স্থাপনা যে কোন সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।ভাঙনরোধে পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি আশ্রয়হীন পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণ-বাসনসহ শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন।ঢালচরে ভয়াবহ ভাঙনের কথা স্বীকার করে পানি উন্নয়ন ভোলা চরফ্যাশন পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কাইছার আলম জানালেন, চরটি সাগরের মধ্যে হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ইতিবাচক হলে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।ঢালচরের ১০টি গ্রামের মধ্যে ৫টি গ্রামের অর্ধেকের বেশি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।-সময় টিভি
