পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি ও দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে এখন পর্যন্ত তদন্ত কমিশন গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত। একইসাথে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে তদন্ত কমিশন গঠন করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।আজ বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।তদন্ত কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপক্ষ আবারও সময় আবেদন করলে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সেই ফেব্রুয়ারি মাসে অর্ডার হয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আপনাদের চিঠি চালাচালি শেষ হয় নাই।’পরে আদালত তদন্ত কমিশন গঠনে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সরকারকে সময় বেধে দেন।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।এর আগে গত ২০ মার্চ পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি ও দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিটি বা কমিশন গঠনের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ৭ মে এর মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং দোষীদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ, স্বরাষ্ট্র, আইন ও যোগাযোগ সচিব এবং দুদকের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী এ কমিটি বা কমিশন গঠনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ইউনূসের বিচার দাবি : আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ নজরে নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
