তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তঋণ পরিশোধ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের রাজনীতি সমূলে উচ্ছেদ করতে হবে। এটাই শোক ও প্রতিশোধের মাস আগস্টের শপথ।’
আজ বুধবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ‘দেশ ও গণতন্ত্র বিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের রাজনীতির বিরুদ্ধে জাসদের গণমিছিল’ উদ্বোধনকালে জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
আগস্ট মাসকে জাতির জন্য সবচেয়ে কঠিন শোকের মাস ও জাতির ওপর সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র-চক্রান্তমূলক আঘাতের মাস হিসেবে বর্ণনা করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই বারবার আগস্টে আঘাত হেনেছে দেশ ও জাতির ওপর। আগস্টেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল, সংবিধানকে পদদলিত করা হয়েছিল, সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসিত করা হয়েছিল, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি, বঙ্গবন্ধুর খুনী, ষড়যন্ত্র চক্রান্তের রাজনীতির ধারক-বাহকরা এখনও বাংলাদেশের উপর আঘাত হানছে, জঙ্গি হামলা ও আগুন-সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের রাজনীতি সমূলে উচ্ছেদ করে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিতে জাসদের নেতাকর্মীদের সংগ্রামের রাজপথে আগুয়ান হতে হবে।’
গণমিছিলপূর্ব এ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, সহসভাপতি মীর হোসাইন আখতার, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান শওকত, নাদের চৌধুরী, নুরুল আখতার, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, নইমুল আহসান জুয়েল, ঢাকা মহানগর উত্তর জাসদের সভাপতি শফিউদ্দিন মোল্লা, ঢাকা মহানগর পশ্চিম জাসদের সভাপতি মাইনুর রহমান, নারী নেত্রী উম্মে হাসান ঝলমল, জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম সুমন প্রমূখ।
সমাবেশ শেষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট এর সামনে থেকে জাসদের গণমিছিলটি বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এসে শেষ হয়।
৫৭ ধারা সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ধারা নয় : তথ্যমন্ত্রী
এদিকে আজ সকালে রাজধানীর হেয়ার রোডে তথ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সোসাইটির সভাপতি মাসুদ পারভেজ, সাধারণ সাম্পাদক মাহমুদুন্নবী জ্যোতি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে অভিনন্দন জানান।
এসময় ৫৭ ধারার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি ডিজিটাল জগতের নিরাপত্তা বিধানে সার্বজনীন ধারা, সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে কোনো ধারা নয়।’
তিনি বলেন, ডিজিটাল গণমাধ্যম হিসেবে অনলাইন সংবাদপোর্টালগুলোকে যেমন বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে হবে, তেমনি সাংবাদিকতার নামে মিথ্যাচার, চরিত্রহনন, গুজব ও উস্কানি ছড়ানোর বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নিতে হবে। আর সদ্যপ্রণীত অনলাইন নীতিমালা ডিজিটাল গণমাধ্যমকে সুরক্ষা দেবে।
অনলাইন সাংবাদিক সোসাইটির সভাপতি মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘নিবন্ধিত সোসাইটি হিসেবে তারা অনলাইন গণমাধ্যম সম্পর্কিত বিষয়ে সরকারের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।’
