‘তুফান সরকার দিয়ে শেষ রক্ষা হবে না’ বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। একই সঙ্গে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন দলটির নেতারা।বুধবার দুপুরে এক মানববন্ধনে বিএনপি নেতারা এই দাবি করেন। বগুড়ায় মা-মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিচার দাবিতে এই মানববন্ধন হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এই কর্মসূচির আয়োজন করে।সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, পেয়ারা মোস্তফা, শামসুন্নার ভুইয়া প্রমুখ।সরকারকে উদ্দেশ করে ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বগুড়ায় একজন কিশোরীকে ধর্ষণ পরে নির্যাতন করে ওই কিশোরী ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা সভ্য সমাজ তো দূরে থাক অসভ্য সমাজেও ঘটে কিনা সন্দেহ। আত্মসম্মান বোধ থাকলে এখনই সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই সরকার উন্নয়ন করেছে ঠিকই, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে নয়। সেই উন্নয়ন হচ্ছে অন্যায় অপকর্মের প্রসার ঘটিয়ে। ধর্ষণ, লুট-পাটসহ নানা দুর্নীতির উন্নয়ন।রুহুল কবির রিজভী সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা বহু তুফান তৈরি করেছেন। এই তুফান দিয়ে কাল বৈশাখী ঝড় দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। এই তুফানরাই আপনাদের পতনের সাইরেন বাজাচ্ছে। তারা আপনাদের কবর রচনা করবে। সেদিন আর বেশি দেরি নয়। তাই, সংবিধান সংবিধান না করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন।৫৭ ধারার মাধ্যমে বহু সাংবাদিককে গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, দেশে এখন অন্য ফরমেটে শেখ হাসিনা বাকশাল কায়েম করেছেন। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বহাল রাখায় সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানান রিজভী।তিনি বলেন, দেশের এই দুঃসময়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে আইনের শাসনের যাত্রাপথে কিছুটা হলেও জাতীর মধ্যে আশাবাদ তৈরি হয়েছে। এই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ -এটা একটা ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী রায়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের খুনের সঙ্গে জড়িয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। বিএনপির এই নেতা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনি আপনার মন্ত্রিপরিষদকে আয়নার সামনে দাঁড় করান, এইচ টি ইমাম ও হাসানুল হক ইনুকে দেখলে কি আপনার পরিবারের সদস্যদের লাশ চোখে ভাসে না?আফরোজা আব্বাস বলেন, ধর্ষক তুফান সরকার ও তার সহযোগীদের প্রথমেই মা-মেয়ের মতো মাথা ন্যাড়া করতে হবে। সেটা রিমান্ডে থাকা অবস্থায় চাই। পরে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দাবি করছি।
