হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের ঘটনার বিচার চেয়ে স্বামী কাছন মিয়ার বিরুদ্ধে স্ত্রী মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আবারো স্ত্রীর পিত্রালয়ে গিয়ে জনসম্মুখে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রুকিয়া বেগম।
ঘটনাটি রুকিয়ার পিত্রালয়ের একটি কক্ষে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে।
নির্যাতনের শিকার রুকিয়া বেগম নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের মো: ধন মিয়ার কন্যা।
মামলার সূত্রে ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, প্রায় ১৫/১৬ বছর আগে নবীগঞ্জ উপজেলার কান্দিগাঁও গ্রামের মো: ধন মিয়ার কন্যা মোসা: রুকিয়া আক্তার ও একই গ্রামের আতিক উল্লার পুত্র মো: কাছন মিয়ার মধ্যে বিয়ে হয়। বর্তমানের তাদের ঔরসজাত ৪ সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই স্বামী মো: কাছন মিয়া নেশার জগতের পথ বেচে নেয়। প্রতিদিন রাতেই নেশা করে স্ত্রীকে মারপিঠ করে। তাদের মধ্যে যৌতুকের ঘটনা নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেন গ্রাম্য বিচারকরা। স্ত্রী রুকিয়া ৪ সন্তানের ভবিষ্যত জীবন চিন্তা করে তার আমেরিকা প্রবাসী ভাইয়ের কাছ থেকে কয়েক দফায় প্রায় ১০ লাখ টাকা এনে দেয় স্বামীকে। কিন্তু আগের অবস্থা থেকে স্বামী কাছন মিয়া কিছুতেই পিছপা হয়নি। সে স্ত্রী রুকিয়াকে বিভিন্ন অজুহাতে পিত্রালয় থেকে আরো ৫ লাখ টাকা এনে দেয়ার চাপ সৃষ্টি করে।
এবার স্ত্রী তার কথায় অপারগতা জানালে উত্তেজিত হয়ে স্ত্রীকে মারপিঠ করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় স্ত্রী রুকিয়া বেগম বাদী হয়ে গত রোববার হবিগঞ্জ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন টাইব্যুনালে স্বামী মো: কাছন মিয়াকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার খবর পেয়ে আবারো উত্তেজিত হয়ে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থানরত স্ত্রী রুকিয়াকে গত মঙ্গলবার সকালে অমানুষিকভাবে পিঠিয়ে আহত করে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত স্বামী মো: কাছন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে সে জানায় এধরনের কোনো ঘটনা সে করেনি। তাকে ফাঁসানোর জন্য স্ত্রী ফন্দি করছে।
