তুরস্কে নির্মিত শত শত মসজিদগুলোকে সমাজের জন্য জীবনের একটি অংশে পরিণত করার অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।শনিবার দেশটির ধর্ম বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ অঙ্গীকার করেন।এরদোগান বলেন, ‘জাতীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য হল শিশুদেরকে সর্বোত্তম, সঠিক, উন্নত ও ইতিবাচক শিক্ষা প্রদান করা। অন্যদিকে, ধর্মীয় বিষয়ে প্রেসিডেন্সির মিশন হল জনগণ এবং শিশুদেরকে সবচেয়ে সঠিক ও উন্নত পদ্ধতিতে ইসলামের শিক্ষা প্রদান করা।’তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের মসজিদগুলোকে কেবল চারটি দেয়াল, একটি মিহরাব এবং একজন ইমামের স্থান হিসাবে রেখে যাচ্ছি না। আমাদের স্কুল এবং মসজিদগুলোকে সমাজের জন্য জীবনের একটি অংশে পরিণত করতে চাই। তা না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছি না।’
এরদোগান বলেন, সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘পিকেকে নিজেকে কুর্দিরাদের প্রতিনিধিত্ব করার দাবি করে থাকে। কিন্তু এরাই কুর্দি জনগণকে হত্যা করছে।তিনি বলেন, ‘তারা বলে, ‘আমরা কুর্দি জনগণের প্রতিনিধি’। তারা মিথ্যাবাদী। তারা ২০১৫ সালের ৭ জুনের নির্বাচনে সামান্য সফলতা পাওয়ায় তারা মানুষকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছিল এবং এতে ৫৩ জন মানুষ নিহত হয় এবং এর জন্য তারাই দায়ী।তিনি বলেন, ‘যারা মারা গিয়েছিল তারা কারা ছিল? তাদের সবাই ছিল আমার কুর্দি নাগরিক। হত্যাকারী ছিল কারা? তারাও কুর্দি ছিল। তোমরা কি আসলেই কুর্দি জনগণের প্রতিনিধি?’তিনি বলেন, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আমাদের স্বপ্নগুলোকে চুরি করার মাধ্যমে অধিক সংখ্যক শিশুদের ক্ষতি করেছে।’পিকেকে মূলত স্কুল, ডরমেটরিটিজ এবং শিক্ষকদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।এরদোগান বলেন, ‘এটা সুস্পষ্ট যে সংগঠনটির উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে আমাদের সন্তানদেরকে স্কুল ও মসজিদ উভয়ের সঙ্গে তাদের বন্ধন ছিন্ন করা এবং তাদের নিজস্ব খারেজি মতাদর্শ অনুযায়ী তারা এসব শিশুদেরকে ক্রীতদাস, চাকর এবং রোবটে পরিণত করতে চায়। কারণ তারা জানে যে সন্ত্রাসবাদ বা সন্ত্রাসীরা মসজিদে আশ্রয় নিতে পারে না।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ কর্তৃক পিকেকে’কে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে সংগঠনটি তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান শুরু করে। তারপর থেকে দেশটিতে নারী ও শিশুসহ ১,২০০ তুর্কি নিরাপত্তা কর্মী ও বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী।
সূত্র: আনাদুলো এজেন্সি