টাঙ্গাইলে কলেজ ছাত্র রাজন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১২জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এই আদেশ দেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ভালকুটিয়া গ্রামের মজিদ প্রামানিকের ছেলে সাইদুল ইসলাম, বিরু প্রামানিকের ছেলে মজিদ, আবু বকর সিদ্দিক টুনুর ছেলে মজিদ প্রামানিক, আব্দুল প্রামানিকের ছেলে আবু বকর প্রামানিক টুনু, হাসু প্রামানিকের ছেলে বাবু, আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে হানু প্রামানিক, নিজামুদ্দিনের ছেলে মমিন প্রামানিক, মজিদ প্রামানিকের ছেলে মজনু, আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে নুরুল ইসলাম, বিরু প্রামানিকের ছেলে নিজামুদ্দিন, জাবেদ আলী শেখের ওয়াহা ও বিরু প্রামানিকের ছেলে সিরাজ। তাদের মধ্যে চারজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- বিরু প্রামানিকের ছেলে মজিদ, মজিদের ছেলে মজনু, আবু বকর সিদ্দিক টুনুর ছেলে মজিদ ও আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে নুরুল ইসলাম।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল ভুঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভালকুটিয়া গ্রামের তার নিজ বাড়িতে জমি সংক্রন্ত বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দণ্ডপ্রাপ্তরা হামলা চালায়। এ সময় লোহার রড ও শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে রাজনকে মারাত্মক আহত করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় ভুঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। ঢাকায় নেয়ার পথে রাজনের মৃত্যু হয়। পরদিন এ ঘটনায় তার বাবা লাল মিয়া সরকার বাদী হয়ে ভুঞাপুর থানায় ১৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ভুঞাপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আবু ওবায়দা ৬জন আসামিকে বাদ দিয়ে ১২জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন। পুলিশ ৮জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাডভোকেট মুলতান উদ্দিন ও আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শামীমুল আক্তার। এদিকে ফাঁসির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজনের পরিবার। অবিলম্বে ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান রাজনের বাবা লাল মিয়া।
