ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত হয়। জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে তাদের সহযোগিতা নিব না কেন? তাদের উপর জনগণের আস্থা আছে ।
নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলে ড. এমাজউদ্দীন আহমদ এও বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করলে দোষ কোথায়?’
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডায়লগ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিসিডিডি) আয়োজিত ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ: নিরপেক্ষ নির্বাচনে সংকট ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে বিএনপির নামে ২৫ হাজার মামলা শিথিল করতে হবে। যদি চালাতে চায় তারপরেও নির্বাচন পর্যন্ত স্থগিত রাখতে হবে। সেনা মোতায়েন নিয়ে কমিশনের বক্তব্য স্পষ্ট হতে হবে। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ অবৈধ। তাদের নির্দেশ না মানার ক্ষমতা বা সাহস থাকতে হবে।’ইসির দেয়া নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘রাস্তার চূড়ান্ত চিত্র অঙ্কন করতে হলে চূড়ান্ত গন্তব্য তৈরি করতে হয়। বাংলাদেশের গন্তব্য হচ্ছে নিরপেক্ষ নির্বাচন যা জনগণ এবং বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এরপর রোডম্যাপ দিতে হবে।’এ সময় তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে কমিশন ভূমিকা রাখবে। একই সাথে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসবে সংসদ ভেঙে দেয়ার।’বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডায়লগ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।
