কেনিয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবারের ভোটে ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে বলে বিরোধীদলীয় নেতা রাইলা ওডিঙ্গা অভিযোগ করেছেন।বুধবার রাজধানী নাইরোবিতে দুই বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে শহরের পুলিশ প্রধান জাফথ কোম জানান।
আঞ্চলিক পুলিশ কমান্ডার লিওনার্দ কাটানারের বরাদ দিয়ে এপি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, নাইরোবি থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পশ্চিমে কিসি কাউন্টির দক্ষিণ মুগরিঙ্গো আসনে দিনের শুরুতে কমপক্ষে আরো একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব তানা অঞ্চলের পুলিশ বলছে যে, পাঁচজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সেখানকার একটি ভোটিং স্টেশনে হামলা করে এবং এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান ল্যারি কিয়েঙ বলেন, ‘তাদের দু’জনকে পুলিশ সদস্যারা গুলি করে হত্যা করে এবং এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।’তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এখনো এই হামলার কারণ উদঘাটন করতে পারি নাই। এটি রাজনৈতিক নাকি ক্রিমিনাল তা বুঝতে পারছি না। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি এবং এ ব্যাপারে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রদক্ষেপ নেয়া হবে।’বিক্ষোভকারীদের একজন সেবাস্তিয়ান ওমোলো বলেন, ওদিঙ্গার হোমটাউন কিসুমোতে বিরোধীদলীয় সমর্থকদের ওপর পুলিশ গুলি চালায় ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে।ওমোলো বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি এবং এ কারণে আমরা রাস্তায় নেমেছি, কিন্তু পুলিশ গুলি করতে শুরু করেছে।’
নির্বাচনে ৫৫ বছর বয়সী ব্যবসায়ী প্রেসিডেন্ট ওহুরু কেনিয়াত্তা এবং সাবেক রাজনৈতিক বন্দি ওদিঙ্গা’র (৭২) মধ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আংশিক ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ওদিঙ্গা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে’ বাধাগ্রস্ত করতে কেনিয়ার নির্বাচনী সংস্থার ডাটাবেস হ্যাকারদের মাধ্যমে পাল্টানো হয়েছে।’
সূত্র: আল জাজিরা
