Home 20 দেশের খবর 20 বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নেই

বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নেই

গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে তিস্তা, ধরলা, পূণর্ভবা, ব্রহ্মপুত্রসহ দেশের বেশ কয়েকটি নদী ফুলে ফেঁপে উঠে ভয়াবহ বন্যায় জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বেগম জিয়া সারাদেশে বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও স্বচ্ছল মানুষকে অতিদ্রুত বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।
রবিবার লন্ডনে অবস্থানরত বেগম জিয়া এক বিবৃতিতে বলেন, জনগণকে উপেক্ষা করে ক্ষমতায় থাকাটাই বর্তমান সরকারের যেহেতু একমাত্র উদ্দেশ্য, তাই জনদুর্ভোগকে তারা কখনোই আমলে নেয় না। অতিসম্প্রতি হাওড়ে বন্যা ও পাহাড় ধ্বসে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি হওয়ার পরও পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় আশ্রয়হীন, ক্ষুধার্ত মানুষকে সহায়তা দিতে সরকার তাত্ক্ষণিক প্রস্তুতি গ্রহণে কোনো ধরনের মনোযোগ দেয়নি। যার কারণে বর্তমান বন্যার তাণ্ডবে উপদ্রুত মানুষ এক চরম সংকটের মধ্যে নিপতিত হয়েছে। বিরোধী দলের প্রতি প্রতিশোধস্পৃহাই যদি সরকারের মূল চালিকাশক্তি হয়, তাহলে সেই সরকার কখনোই প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামাল দিয়ে অসহায় জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে পারেনা।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে নদীগুলো ফুলে ফেঁপে ওঠায় দেশের বন্যা পরিস্থিতি এখন মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। এর উপর তিস্তার উজানে ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের গেটগুলো খুলে দেয়ার ফলে তিস্তা নদীর পানি এখন বিপদসীমার সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে তিস্তাসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি নদীর দুই তীরের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল, বসতবাটি, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং মানুষের জীবন-জীবিকা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া অন্যান্য নদীগুলোর উজানের দিক থেকে ধেয়ে আসা প্রবল পানির স্রোতে বাংলাদেশের ব্যাপক এলাকা এখন পানির নীচে। হু হু করে বয়ে আসা বন্যার পানিতে পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাটের নদী সংলগ্ন এলাকাগুলোই শুধু নয়, জেলা শহরগুলোও তলিয়ে যাচ্ছে। শহরের পাকা রাস্তাতেও কোমর পানি ডিঙ্গিয়ে মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে। বন্যা উপদ্রুত মানুষ ঘর-বাড়ী-জোত-জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অথচ বন্যার ভয়াবহ পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের কার্যকর কোন উদ্যোগ নেই। নেই কোন জরুরী ত্রাণ তত্পরতা। বন্যা দুর্গত মানুষকে নিরাপদে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়নি। রংপুর বিভাগের অনেক এলাকার অসহায় মানুষ বন্যার তাণ্ডবে সর্বস্ব খুইয়ে হাহাকার করছে। সরকারের লিপ সার্ভিস ছাড়া এই ভয়াবহ বন্যা মোকাবেলায় বাস্তব কোনো সার্ভিস নেই।

About Dhakar News

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x

Check Also

ইলিশ আহরণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা: মৎসজীবীদের উদ্বেগ

মো: ফিরোজ ফরাজী, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী): ইলিশ আহরণে সরকারি ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার মাথায় হাত পড়েছে রাঙ্গাবালীর ...

রাজধানীতে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ: দগ্ধ ৫

রাজধানী ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদী নামাপাড়া রোডে ওয়াসার কাজ করার সময় তিতাস গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণে ৫ ...

দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: ড.আনোয়ার খান এমপি

মোঃ ছায়েদ হোসেন, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর): দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই ...

নাব্যতা সংকটে দারছিড়া: ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

মোঃ ফিরোজ ফরাজী রাঙ্গাবালি (পটুয়াখালী):পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা। একপাশে বঙ্গপসাগর তিন দিকে নদী। রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া ...

মেঘনায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় শিশুসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ৩

মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জের সীমান্ত চরকিশোরগঞ্জে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় এক শিশুসহ দুইজনের লাশ উদ্ধার করা ...