বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যে গোষ্ঠটি দেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল।তিনি বলেন, এখনও ওই গোষ্ঠীটিই বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ও হত্যার জন্য বার বার চক্রান্ত করেছে।তোফায়েল আহমেদ আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড : দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাঙ্গালি জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু ৪ হাজার ৬৬২ দিন জেল খেটেছেন। বাঙ্গালি জাতিকে তিনি উদ্বুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতার জন্য। লক্ষ্য ছিল একটাই- বাঙ্গালি জাতির মুক্তি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বাঙ্গালি জাতির প্রত্যেককে তিনি পরিবারের সদস্য মনে করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা শুনলে তিনি তা বিশ্বাস করতেন না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশ ছোঁয়া। বিপুল জনপ্রিয়তার কারণেই তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের শিকার হন। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বাঙ্গালি জাতির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত করে ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হলেও, কেউ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারবে না। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাংলার মাটি থাকবে, বাংলাদেশের মানুষ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বেঁচে থাকবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শূন্য হাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। তিনি মাত্র তিন বছর সাত মাস দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি দু‘টি লক্ষ্যকে সামনে রেখে সংগ্রাম করেছেন। একটি হলো বাঙ্গালি জাতির স্বাধীনতা, অপরটি অর্থনৈতিক মুক্তি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করেছেন। আর তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙ্গালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন। ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ। তিনি আরো বলেন, একসময় যারা বাংলাদেশকে বলতো তলাবিহীন ঝুড়ি, দরিদ্র দেশের মডেল এবং বলতো বাংলাদেশ উন্নতি করলে পৃথিবীতে আর কোন দরিদ্র দেশ থাকবে না। আজ তারাই বলছেন, বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল হাসান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা মো. ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মোজাফ্ফর আহমেদ পল্টু, দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, বিএফইউজে’র সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মুকুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রথম সহ-সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
