পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জানতে পেরেছিল, ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে ৩২ নম্বর রোডে মিছিল আসবে। তারা সেখানে বোমা ফাটাবে। শতশত মানুষ মেরে ফেলবে। কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তাদের ফলো করেছে। তাদের আস্তানা আমরা শনাক্ত করতে পারি। হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে তল্লাশির এক পর্যায়ে একটি রুম থেকে রেসপন্স পাওয়া যায়। তাতে মনে হয়েছে সেখানে জঙ্গির উপস্থিতি রয়েছে। তাকে আমরা সারেন্ডার করতে বলি। বাধ্য হয়ে পুলিশ অপারেশন শুরু করে। তখন সে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পান্থপথে হোটেল ওলিওতে পুলিশের অভিযান ও ‘আত্মঘাতী’ বোমা বিস্ফোরণে এক জঙ্গি নিহতের পর দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।আইজিপি বলেন, হোটেলে ৩০১ নম্বর কক্ষের দেয়াল উড়ে যায়। এক পর্যায়ে সে আরেকটি বোমা ফাটাতে গেলে পুলিশ তাকে গুলি করে। তার সাথে সুইসাইডাল ভেস্ট ছিল। ব্যাগপ্যাক ছিল। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, তার নাম সাইফুল ইসলাম। খুলনার ডুুমুরিয়ায় তার বাড়ি। তার বাবা স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম। সে নিজেও মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করে খুলনা বিএল কলেজে ভর্তি হয়। সেখানে সে ছাত্রশিবির করতো।
তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির না হলে জাতির পিতার শোক দিবসে এ রকম ঘটনা ঘটাতে পারতো না। জামায়াত-শিবিরসহ যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তারা আবারও এরকম হামলা করেছে। সেসব পরিকল্পনা আমরা নস্যাৎ করেছি। শোক দিবসের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই তারা এরকম হামলার পরিকল্পনা করেছে।
