গত বছরের মার্চে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর দুতের্তে ফিলিপাইনে ব্যাপক মাদকবিরোধী অভিযানের ঘোষণা দেন। এসব অভিযানে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার লোক নিহত হয়েছেন। বুলাকানের অভিযানে যে তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল সেটা বুধবার স্বীকার করেছেন দুতের্তে।ফিলিপাইনে মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে দুই রাতে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বুধবার রাতেই নিহত হয়েছেন ২৬ জন। বৃহস্পতিবার দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।দুতের্তে বলেন, ভালো হয়েছে যে বুলাকানে ৩২ জন অপারাধীকে হত্যা করা হয়েছে। আসুন প্রতিদিন আরো ৩২জন করে হত্যা করি। যে জিনিসটি দেশক অসুস্থ করে তুলছে এর মধ্য দিয়ে হয়তো তা প্রশমিত হবে।জানা গেছে, দেশটির বুলাকান প্রদেশে প্রথম অভিযান চালায় পুলিশ। রাজধানী সীমান্তবর্তী প্রদেশটিতে অভিযান চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ৩২ জন।ম্যানিলা পুলিশের মুখপাত্র কর্নেল আরউইন মারগারেজো জানিয়েছেন, বুধবার রাতে অভিযান শুরু হয়। পুলিশের গুলিতে যারা নিহত হয়েছেন তারা আত্মসমর্পণ না করে লড়াইকে বেছে নিয়েছিলেন।পুলিশ জানিয়েছে, ম্যানিলা ও বুলাকানে মোট ১৭৯জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি অঞ্চলে পুলিশ ৮৪টি অভিযান চালিয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্রেতার ছদ্মবেশে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে।সম্প্রতি ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ‘সন্স অফ বিচেচ’ বলেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তার দেশে চলমান কঠোর মাদকবিরোধী যুদ্ধ পুনঃবিবেচনা করতে বলায় তিনি এ মন্তব্য করেন।চীনা ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের পুনর্বাসনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে কোন আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করি না, কারণ তাদের পুনর্বাসন প্রকল্প মাদক চক্রকে অপরাধ সংঘটন থেকে নিবৃত্ত করে না।দুতের্তে বলেন, আমাদের বর্তমান দুঃসময়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা চীন থেকে সহায়তা পাচ্ছি, সেখান থেকে অর্থ আসছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে, তারা মাদক সমস্যার একটি স্বাস্থ্য-সেবা ভিত্তিক সমাধান চায়। যত সব ‘সন্স অফ বিচেচ’।তিনি বলেন, তারা আমাদের ক্লিনিক বানাতে বলছে। কিন্তু আমরা জানি, যেসব দেশে তারা ক্লিনিক বানিয়েছে, সেই সব দেশে ওই ক্লিনিক থেকেই মাদকের ইঞ্জেকশন বিক্রি করা হয়। আমাদের দেশেও বিদেশী সহায়তায় পরিচালিত এসব ক্লিনিকে মেথামফেটামাইন ইঞ্জেকশন দেয়া হয়।
