মিসবাহ উল হক জাতীয় দলের দায়িত্ব পেয়েছেন বড় পর্যায়ের কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা ছাড়াই। দুদিন আগে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘মিসবাহ মেধার ভিত্তিতে দায়িত্ব পাননি।’ আর গতকাল পাকিস্তানের নতুন হেড কোচ মিসবাহ উল হক বলেন, ‘কোনো জাদু বলে চাকরি পাইনি।’ সঙ্গে তিনি জানান তার বেতনের অঙ্কটাও। মিসবাহ জানান, আগের কোচ মিকি আর্থারের সমান বেতন ছাড়া আর কোনো দাবি-দাওয়ার কথা পিসিবিকে তিনি বলেননি। শ্রীলঙ্কা দল এখন পাকিস্তান সফর করছে। মিসবাহ বলেন, ‘কোনো জাদুবলে চাকরি পাইনি। বেতন নিয়ে কোনো দাবি-দাওয়া ছিল না। শুধু বলেছি, আগের কোচ যে অঙ্কের বেতন পেয়েছে তা দিলেই চলবে।’ মিসবাহ দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রধান কোচ হিসেবে তার বেতনের অঙ্ক নিয়ে কিছুই জানা যায়নি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) তরফ থেকেও তখন কিছু বলা হয়নি। দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘জিও টিভি’ জানিয়েছিল, মাসিক ২.৮ মিলিয়ন রুপি পারিশ্রমিকের শর্তে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মিসবাহ। চুক্তির তিন বছর মেয়াদে তার বাৎসরিক ৩.৪ কোটি রুপি করে পারিশ্রমিক পাবেন তিনি। এর আগে পিসিবির উচ্চপদস্থ এক অফিশিয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, মাসে ২০ হাজার ডলার পারিশ্রমিক পেতেন আর্থার। রুপির হিসেবে মিসবাহর মাসিক বেতন আর্থারের কাছাকাছি। বিশ্বকাপে পাকিস্তান বাজে পারফরম্যান্স করায় ছাঁটাই করা হয় আর্থারকে। এরপরই জাতীয় দলের প্রধান কোচ ও প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পান মিসবাহ। প্রায় সাত মাস আগেও খেলোয়াড় হিসেবেই ব্যস্ত ছিলেন ৪৫ বছর বয়সী মিসবাহ। ছয় মাস আগেও পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলেছেন পাকিস্তান সুপার লীগে। ২০১৮ সালেই পাকিস্তান ইউনাইটেড তাকে কোচ বা মেন্টরের ভূমিকায় পেতে চেয়েছিল। কিন্তু খেলার জন্য দলই বদলে ফেলেন মিসবাহ। তবে ভেতরে-ভেতরে কোচিং ক্যারিয়ারের জন্য প্রস্তুতিও নিয়ে রাখছিলেন। ইসিবির লেভেল ২-এর কোচিং সনদ নিয়েছেন। পিসিবিরও লেভেল ২-এর সনদও রয়েছে তার। কিন্তু হাতে-কলমে বড় পর্যায়ে কোচিং করানোর কোনো অভিজ্ঞতা নেই মিসবাহর। এরপরও বিশ্বের অনেক দলের কোচের তুলনায় তার পারিশ্রমিক বেশি। যদিও ভারতের কোচ রবি শাস্ত্রীর পারিশ্রমিকের তুলনায় তার বেতন অনেক কম। ভারতের কোচ হিসেবে শাস্ত্রীর বাৎসরিক পারিশ্রমিক প্রায় সাড়ে ৯ কোটি রুপি।