Home 20 আন্তর্জাতিক 20 মুসলিম ছাড়া বাকি সব ধর্মের লোক ভারতে থাকবে : অমিত শাহ

মুসলিম ছাড়া বাকি সব ধর্মের লোক ভারতে থাকবে : অমিত শাহ

ভারতে নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) তৈরির ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ ধর্মকে নিশানা করা হয়নি। বুধবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আবারও জানিয়ে দিলেন, পড়শি দেশগুলোতে ধর্মীয় বিদ্বেষের শিকার হিন্দু, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও পার্সিদেরই শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
এর আগেও অমিতসহ বিজেপি নেতৃত্ব একাধিকবার প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা সেসব দেশের সংখ্যালঘুদেরই এ দেশে শরণার্থী হিসেবে গ্রাহ্য করা হবে। যার থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, ওই দেশগুলোতে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষের, অর্থাৎ মুসলিমদের ভারতে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করতে চায় বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার।
কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানায়, সংসদের চলতি অধিবেশনে রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। তার আগে বুধবার এনআরসি প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু হলে অমিত শাহ রাজ্যসভায় বলেন, ‘পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান ও পার্সি শরণার্থীদেরই নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত। তাঁদের ভারতের নাগরিক করে তুলতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রয়োজন।’
হিন্দু, খ্রিস্টানসহ বাকিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বললেও অমিত শাহ কেন মুসলিমদের এড়িয়ে গেলেন, তা জানতে চান এনসিপি সাংসদ সৈয়দ নাসির হুসেন। জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘আপনি এনআরসি ও নাগরিক সংশোধনী বিলের মধ্যে পার্থক্য গুলিয়ে ফেলছেন। এনআরসি তৈরির ক্ষেত্রে কোনো ধর্মকে নিশানা করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতেই সবকিছু হয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস যাই হোক না কেন, দেশের সব নাগরিকেরই নাম নথিভুক্ত হবে এনআরসি তালিকায়। দেশের সর্বত্র এনআরসি হবে। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। সকলকে এনআরসির আওতায় আনতেই এই প্রক্রিয়া।’
আসামে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা থেকে এরই মধ্যে ১৯ লাখের বেশি মানুষের নাম বাদ গেছে। কিন্তু ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে তাঁরা আবেদন করতে পারে বলে এ দিনও জানান অমিত শাহ।
তিনি বলেন, ‘তালিকায় নাম বাদ গেলে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার অধিকার রয়েছে প্রত্যেকের। আসামের বিভিন্ন প্রান্তে এই ট্রাইব্যুনাল গড়ে তোলা হবে। কারো সামর্থ্য না থাকলে আসাম সরকার তাঁর আইনজীবীর খরচ বহন করবে।’
২০১৬ সালে লোকসভায় নাগরিক সংশোধনী বিল পেশ করে মোদি সরকার। পরে সেটি সংসদীয় যৌথ কমিটির কাছে পাঠানো হয়। এ বছর জানুয়ারি মাসে তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় ওই কমিটি। তার পর সেটি লোকসভায় গৃহীত হয় এবং গত ৮ জানুয়ারি পাস হয়ে যায়। কিন্তু রাজ্যসভায় এখনো পাস হয়নি বিলটি।

About News Desk

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x

Check Also

অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ...

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে দুর্নীতি করতে আসেনি, মানুষের সেবা করতে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে দুর্নীতি করতে আসেনি, ...

তলে তলে কোনো আপস হয়নি: মির্জা ফখরুল

সরকারের সঙ্গে তলেতলে কারও কোনো আপস হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ...

ঢাকায় বিএনপির দুই কেন্দ্রীয় নেতা সহ ১৫ জনের ৪ বছরের কারাদণ্ড

নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য মো. ...

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় সুইডেন

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় সুইডেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ...