২০২০ সালে । আগামী বছর (২০২০) মোট ১লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশী হজ করার সুযোগ পাবেন। বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ডক্টর সালেহ বিন তাহের বেনতেন-এর নেতৃত্বে ২০২০ সালের হজ চুক্তি অনুষ্ঠানে এ বিষয় সিদ্ধান্তের কথা জানান দু’দেশের মন্ত্রীরা।
হজ চুক্তিতে আরো যেসব বিষয় রয়েছে-
রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় ঢাকায় শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন হবে, হাজিদের ভোগান্তি কমাতে মদিনায় ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানো, বাংলাদেশ বিমান ৫০ ভাগ এবং সৌদি এয়ারলাইন্স ৫০ ভাগ হজযাত্রী পরিবহন করবে। বেসরকারি এজেন্সি সর্বনিম্ন এক শ’ জন হজযাত্রী প্রেরণের বিধান আগামী বছর অব্যাহত থাকবে। IATA শিথিল করা, হাজিদের পরিবহন সুবিধা বাড়ানো ও মিনায় উন্নত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হচ্ছেন ধর্ম মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান, কাউন্সিলর হজ মুহম্মদ মাকসুদুর রহমান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নুরী, হজ পরিচালক (আশকোনা হজ অফিস, ঢাকা) ও হজ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন আব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম শাহাদাৎ হোসাইন তাসলিমসহ ৯ সদস্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ডক্টর মোহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন-এর নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হজ ও ওমরাহ প্রতিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুল ফাত্তাহ বিন সোলায়মান মাশাত-এর নেতৃত্বে সৌদি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হচ্ছেন হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর হোসাইন বিন নাসের শরীফ, হজ অফিসের মহাপরিচালক হুসনী বিন আব্দুল্লাহ বুসতাজীসহ সৌদিআরবের ১০ জন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আজ সকালে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ প্রতিমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। হজ চুক্তির সে বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ১৩ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
এগুলো হচ্ছে
১. হজ যাত্রীর কোটা বাড়ানো
২. রুট টু মক্কা ইনিসিয়েটিভের আওতায় শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে করা এবং হজ শেষে দেশে ফেরার সময় জেদ্দা ও মদিনা এয়ারপোর্টে হাজিদের ইমিগ্রেশন সহজ করা।
৩. হাজিরা যাতে ৪২ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিনের কম সময়ে দেশে ফিরতে পারেন সে পদক্ষেপ নেয়া।
৪. ভিসা প্রসেসিং সহজ করা।
৫. খাওয়া-থাকাসহ সৌদিআরবে বাংলাদেশী হাজিদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো।
৬. কালো তালিকাভুক্ত বেসরকারি এজেন্সির তালিকা দ্রুত প্রকাশ করা।
৭. হাজিদের জন্য বাধ্যতামূলক খাবার সরবরাহের প্রথা বন্ধ করা এবং মিনায় উন্নতমানের বাংলাদেশী খাদ্য সর্বরাহ করা ও উন্নতমানের আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৮. হজের সময় বাংলাদেশে আইন লঙ্ঘন করে সৌদি এয়ারলাইন্সের অবৈধ টিকেট বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।
৯. হাজি পরিবহনে বাস সার্ভিস উন্নত করা।
১০. বাংলাদেশী হাজিদের জন্য ট্রেন পরিবহন সার্ভিস বাড়ানোর জন্য ২০২০ সালের হজ চুক্তির বৈঠকে যে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। তা-ও হজ চুক্তির চূড়ান্ত বৈঠকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনার আশ্বাস দেন সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী।