নির্বাহী আদেশ দণ্ড স্থগিতের পর মুক্তিতে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানো নিয়ে সরকার আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সরকারের সিদ্ধান্তের পরও বিএনপি নেতাদের এনিয়ে সংশয় থাকলে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তিনি এমন সময় এ মন্তব্য করলেন যখন বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে হলে আগে জেলে যেতে হবে বলে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়, আর বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে সরকার আইনের ভূল ব্যখ্যা দিচ্ছে বলে দাবি করছে বিএনপি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো নিয়ে সরকার আইনের ভুল ব্যাখ্যা করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতারা।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাছান মাহমুদ বলেন, “সরকার কোনোভাবেই ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে না। আর তারা (বিএনপি নেতা) যদি তা মনে করে তাহলে তো আদালতে যেতে পারে।”
তিনি বলেন, “বেগম জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তার কি পরিমাণ দম্ভ, অহমিকা যে, তার পুত্রবিয়োগে সমবেদনা জানাতে তার বাড়ির দুয়ারে দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে ২০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি দরজা খোলেননি। তার আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা দায়ের করা হয়েছিল, আমাদের সরকার তো খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করে নাই। তার বিরুদ্ধে সবগুলো মামলা সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের। সেই সব মামলার বিচার হচ্ছে, তাতেই তিনি সাজা খাটছেন।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “খালেদা জিয়া ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হ*ত্যাকাণ্ডের দিনে নিজের মিথ্যা জন্মদিন পালন করে কেক কেটেছেন, ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলায় মদদ দিয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছেন। ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা দায়ের করেছেন। সেই চরম প্রতিহিংসা ও জিঘাংসাপরায়ণ খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়ে চলেছেন তা নজিরবিহীন।”
এক প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, “খালেদা জিয়া বা তারেক রহমান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলেই বিএনপি নির্বাচন চায় না এবং এই দুই শীর্ষ নেতা আর কাউকে নেতা বানানোর জন্য বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে দিতেও চায় না।”